মোঃ টিপু সুলতান, মিয়ারহাট, কালকিনি, মাদারীপুর।
“ইচাগুড়া” নামটা শুনলেই কেমন যেনো একটা অন্যরকম লাগে তাই না? জি আসলেই তাই। এটি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইয়নিয়নের একটি গ্রাম। যদিও বা বর্তমানে এর দাপ্তরিক নাম চরফতে বাহাদুর। কিন্তু লোকমুখে এই গ্রাম ইচাগুড়া নামেই অধিক পরিচিত। এমন নামকরণের আসল ইতিহাস না জানা গেলেও কথিত আছে, এই প্রামের পাশ দিয়ে যে সরু একটি খাল বয়ে যাচ্ছে এককালে নাকি এ খালে অনেক ছোটোছোটো চিংড়ি পাওয়া যেতো। আর আঞ্চলিকভাবে চিংড়ি এখানে ইচামাছ মানে পরিচিত এবং ছোটোছোটো চিংড়ি গুড়া ইচা নামে পরিচিত। সেই সূত্র ধরেই নাকি এই গ্রামের এমন নামকরণ হয়েছে। যদিও এই নামকরণের ঘটনার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এই গ্রামটি শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম জনবসতিপূর্ণ একটি গ্রাম। এ গ্রামে ১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৯ টি মসজিদ রয়েছে। গ্রামের বুকচিরে রয়েছে চলাচল উপযোগী সুন্দর একটি পিচঢালা রাস্তা। গ্রামের সম্মুখভাগে রয়েছে একটি সরু খাল, পশ্চ্যাতভাগে রয়েছে গাছপালার সমাহার, বাগান আর বাগানের পরেই রয়েছে বিশাল আয়োতনের আবাদি জমি। যে জমিতে উৎপন্ন ফসল অত্র এলাকার মানুষের চাহিদা পূরণ করে অন্য এলাকার মানুষের চাহিদাও মেটায়। শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের প্রবাসী রেমিটেন্স আয়ে ভাল অবস্থানে আছে এই গ্রাম। “সিংগাপুর “ গ্রাম নামে অনেকে চিনে ইচাগুড়াকে । রেমিটেন্স আয়ে মিয়ারহাটের অর্থনিতিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে ইচাগুড়া।
শিকারমঙ্গল ইয়নিয়নের মধ্যে অন্যতম শান্তিপূর্ণ একটি গ্রাম এটি, নেই কোনো অন্তকোন্দল, সাম্প্রদায়িকতা। এলাকার যেকোনো সমস্যা সমাধানে গ্রামের মানুষজন সবাই মিলেমিশে একত্রিত হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তা সমাধানের পথ খুঁজে বের করেন।