1. admin@miarhat.com : admin :
শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ হেডলাইন
ডাসার উপজেলা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সভাপতি সৈয়দ লাহিদ সাধারন সম্পাদক আতিকুর রহমান আজাদ কালকিনি ও ডাসারে নতুন ঠিকানা পেলো ভূমিহীনরা কালকিনিতে বঙ্গবন্ধু সিক্স সেট টুর্নামেন্টে ফাইনালে উঠেছে কালকিনি পূর্বাঞ্চলের একমাত্র দল -ইস্টার্ন কালকিনি কালকিনিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা ডাসার উপজেলায় ২০ দিন ব্যাপি কুটির শিল্প মেলা ও দি লক্ষন দাস সার্কাস এর উদ্ভোধন কালকিনিতে সাবেক ক্রিকেট খেলোয়ারদের নিয়ে প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত ডাসারে ভিডব্লিউবি‘র কার্ড ও খাদ্য বিতরণ কর্মসুচি অনুষ্ঠিত কম্বাইন্ড হিউম্যান রাইটস ওয়ার্ল্ড কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা লৌহজং বেজগাঁওর মৃধাবাড়িতে বাংলাদেশ মৃধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সভা ও অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হস্তমৈথুন ছাড়ার ১০ টি কার্যকরী টিপস

মিয়ারহাটের সুপারী সম্ভবনাময় কৃষি ফসল

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১ মে, ২০২২
  • ৫০৩ বার পঠিত
মিয়ারহাটের সুপারীর বাজার ঐতিহ্যবাহী সম্ভবনা কৃষিখাত

মোঃ টিপু সুলতান, মিয়ারহাট, কালকিনি, মাদারীপুর।

বাঙালীর সুপারি নিয়ে কত কথা। পান-সুপারি প্রীতি তো আছেই। ভূরিভোজনের পর একটি খিলিপান বা মিষ্টি সুপারির পানের কদর আলাদা। প্রাচীন আমলে বাংলার বণিকদের বড় কারবার ছিল সুপারি, পান ও নারকেল। সুপারির ইতিহাসে জানা যায়, অবিভক্ত ভারতবর্ষ থেকে গুয়া রফতানি হতো আরব ও পারস্যে।

প্রাচীনকালের বেনিয়ারা গুয়া কিনতেন পশ্চিম ভারতের সুপ্পারক বা সোপারা বন্দর থেকে। গুয়াকে তারা বলত সোপারা। এই নামটি পরে সামান্য পরিবির্তত হয়ে ‘সুপারি’ নামে ছড়িয়ে পড়ে। সুপারি গাছ এরিকাসিয়া পরিবারের একবীজপত্রী ও এরকিগনের ফল। বিজ্ঞান নাম এরিকা ক্যাটিচু। অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। উৎপত্তি ফিলিপিন্স ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। লম্বা গাছের মাথায় এক থেকে দুই মিটার লম্বা বড় পত্রকুঞ্জের (কাঁদিতে) থোকা থোকা ধরে সুপারি। পাতায় কোন কাঁটা নেই। ফল ডিম্বাকার থেকে গোলাকার। কাঁচা ফলের রং সবুজ। পেকে গেলে হলদেটে। খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের গোল বীজ। যাঁতি দিয়ে কুচিকুচি করে কেটে পানে ভরানো হয়। সুপারির হেক্টর প্রতি ফলন ৩.৪৫ মে.টন। তবে সুপারির হিসাব সাধারণত কেজিতে হয় না। এর হিসাব পণ ও কাহন। প্রতি ২০ হালিতে (৮০টি) এক পণ। ১৬ পণে এক কাহন। কাঁচা ও পাকা দুই ধরনেই সুপারি বিক্রি হয়। পাকা সুপারি মানভেদে কাহন সাড়ে চার হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা। প্রতি পণ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। জুন মাস থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সুপারি সংগ্রহ করা হয়।

 

পুকুরপাড় ও ক্ষেতের আইলে সুপারি গাছ লাগাতে অতিরিক্ত কোন জমির প্রয়োজন হয় না এবং জমির ফসলের তেমন ক্ষতি না হওয়ায় সুপারি গাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে চাষিরা। সুপারি বিক্রি করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়া ছাড়াও এসব গাছের শক্ত অংশ দিয়ে গ্রামাঞ্চলের ঘর বাড়িতে বসার মাচা (টঙ) এবং চালের বাতা করা যায়। সুপারি গাছের পাতা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়। এছাড়াও সারা বছর নিজের পরিবারের শৌখিন খাবার পান-সুপারি খাওয়ার চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সুপারি বিক্রি করে সংসারের সিংহভাগ ব্যয় মেটানো সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই এখন বসতবাড়ির আশপাশের পতিত জমি, পুকুরপাড় এবং ক্ষেতের আইলে বাণিজ্যিক ভাবে সুপারি চাষ করছে কৃষক।

 

মিয়ারহাট এলাকায় সবচেয়ে বেশি সুপারী বাগান যথাক্রমে  ভবানীপুর, মোহাম্মদপুর, ইচাগুড়া, সরদারকান্দী, মৃধা কান্দী এলাকায় । মিয়ারহাটের বাজারে সবচেয়ে বেশি সুপারী আসে স্থানীয় এলাকা থেকে তারপর সিডিখান (চরদৌলত খান)।

মিয়ারহাট বাজারের সুপারীর  ক্রেতাদের  সিংহভাগই আড়িয়াল খা’র আশেপাশের চর এলাকার মানুষ। চাহিদা মত সুপারী এই বাজার থেকে  ক্রেতারা পাচ্ছে না। ব্যাপক বাজারের   চাহিদা দেখে যদি মিয়ারহাট এলাকার মানুষ পতিত জমিতে ভাল জাতের সুপারী বাগান করে তবে মিয়ারহাটের সুপারী হতে পারে  ঐতিহ্যবাহী সম্ভবনা কৃষি ফসল ।

মিয়ারহাটের সুপারীর বাজার ঐতিহ্যবাহী সম্ভবনা কৃষিখাত

 

এ জাতীয় আরও খবর

© All rights reserved © 2022 Miarhat.com

Theme Customized By Miarhat