মোঃ টিপু সুলতান, মিয়ারহাট, কালকিনি, মাদারীপুর।
বেশকিছু ধরেই চলছে গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহ, নেই বৃষ্টির দেখা, তেমন একটা বইছেনা হৃদশীতল করা দখিনা বাতাসও। গরমে ইদের আমেজেও যেনো কেমন একটা মৃদুভাব দৃশ্যমান। এই তীব্র তাপদাহে মানুষের স্বস্তির একমাত্র উপায় যেখানে বৈদ্যুতিক পাখা কিংবা রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষিত পরান জুড়ানিয়া একগ্লাস হিমশীতল পানি অথবা ফল-ফলাদি। সেখানে বিগত কয়েকদিন ধরেই মিয়ারহাট এলাকায় চলছে তীব্র লোডশেডিং।
ইদের মৌসুমে মিয়ারহাট বাজারে দোকানদারদের বেচা-কেনার চাপ একটু বেশিই থাকে সেটা মোটামুটি আশপাশের এলাকার কারোরই অজানা নয়। সেই সাথে মিয়ারহাট বাজারের অর্থনীতির চাঁকা গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত সব সময় যেই কল-খারাখানা গুলো গতিশীল রাখে। ইদানীংকালে প্রায় সময়ই বিদ্যুৎ সংকটের কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা বন্ধ থাকছে সে সকল কল-কারখানা।
ইদ পালনের জন্য কিংবা বছরব্যাপী কর্পোরেট ব্যস্ততার থেকে একটু অবসরের আশায় এলাকার থেকে দূরে থাকা প্রায় সবাই চলে এসেছেন গ্রামে। সকলে মিলে কত আনন্দ-উচ্ছ্বাস, আড্ডা হবারই না কথা ছিলো। প্রত্যেক প্রজন্মেরই রয়েছে ইফতার মাহফিল, পুনর্মিলনী এসব কত প্ল্যানিং।
কিন্তু গ্রীষ্মের এই তীব্র তাপদাহ সাথে ঘনঘন লোডশেডিং যেনো সকলের পরিকল্পনার গুড়ে বালি। ঘনঘন এই লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ মিয়ারহাটের জনজীবন। এলাকার জনগণ এই অতিষ্ঠ জীবন থেকে মুক্তি চায়, শান্তিপূর্ণ একটা ইদ কাটাতে চায়।
রমজান মাসে ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য কিছুদিন আগে বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এমন নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে বলা হয়, সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ চাহিদার সময় উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কারিগরি কারণেও যেন লোডশেডিং না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে সভায়।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী সভায় বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশে এই সভা করা অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু বৈশ্বিক পরিস্থিতির জন্য করতে হচ্ছে। এই যুদ্ধের জন্য অনেক দেশের প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সবাই একসঙ্গে থাকলে যেকোনো সমস্যাই দ্রুত সমাধান করা সম্ভব।