বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি অনুসারে ২০ মে থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হবে। তথ্য সংগ্রহ ও সুপারভাইজার কর্তৃক যাচাই কার্যক্রম ২০ মে থেকে পরবর্তী তিন সপ্তাহ পর্যন্ত অথবা শুরুর তারিখের পরবর্তী তিন সপ্তাহ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
ক্লিক করুন এখানে- যে ১৪০ উপজেলায় আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ হবে – মিয়ারহাট ডট কম
ইসি সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে ১৪০ উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে ছবি তোলা ও ভোটার নিবন্ধনের কার্যক্রম চলবে। বয়স ১৮ না হলেও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। যাদের বয়স ১৮ হয়নি, তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় তাদের নাম যুক্ত হয়ে যাবে।
ছবি – Madaripur District Election Office (ফেইজবুক)
সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে ১৪০ উপজেলায় জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে আগামী ২০ মে। এসব উপজেলায় তথ্য সংগ্রহ চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। এরপর ১০ জুন থেকে শুরু হবে তাদের নিবন্ধন কার্যক্রম। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে এই ধাপের নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে।
এরপর ধাপে ধাপে দেশের বাকি উপজেলাগুলোতেও ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কার্যক্রম চলবে এ বছরের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত।
ইসি সূত্র জানায়, এবার নির্বাচন কমিশন নিয়োজিত তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারের তথ্য নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশ ও ছবি তুলে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। এই কর্মসূচিতে ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারের নাম কেটে দেওয়া হবে এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার এলাকা স্থানান্তরের বিষয়েও কার্যক্রম চলবে।
এবার ভোটার তালিকায় নাম নিবন্ধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পূরণ করা নিবন্ধন ফরম-২-এর সঙ্গে অনলাইন জন্ম সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অথবা এসএসসি বা সমমান পরীক্ষা বা যেকোনো পাবলিক পরীক্ষা পাসের সনদের ফটোকপি দেখাতে হবে। এছাড়াও অন্যান্য কাগজপত্র যেমন— নাগরিকত্ব সনদ, প্রত্যয়নপত্র, বাড়ি ভাড়ার রশিদ, হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের রশিদ বা যেকোনো ইউটিলিটি বিল পরিশোধের রসিদের কপি থাকতে হবে। হিজড়া ভোটার: সরকার তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীকে ‘হিজড়া লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফলে এবারও হিজড়া পরিচয়ে তারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। তবে এ জনগোষ্ঠীকে ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে তাদের শনাক্তকরণের জন্য সমাজসেবা অফিসের প্রত্যয়ন অথবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির প্রত্যয়ন লাগবে।