রতন দে, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কে এই ইলিয়াছ , কেউ কেউ বলছেন দ্বিতীয় এরশাদ শিকদার , আবার কেউ কেউ বলছেন ওসি প্রদিপের কথিত সোর্স, খুন, ডাকাতি লুটপাট এমন কোন কাজ নেই তিনি করেননি এমনটাই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে, এক সময় জামাত বি এনপির ছায়াতলে ছিল ইলিয়াছ প্রকাশ গাভী ইলিয়াছ এখন দল চেইঞ্জ করে হয়েছেন কথিত সৈনিক লীগের পতেঙ্গা থানা সভাপতি, জনমনে প্রশ্ন এর পেছনে ইন্ধন দাতাদের পরিচয় সামনে আনা দরকার , এত সাহস সে পায় কি করে, এর পেছনে টাকার বিনিময়ে কে তাকে কথিত সৈনিকলীগের পতেঙ্গা থানা সভাপতি করে টাকা হাতাচ্ছেন, কথিত সৈনিকলীগের কোন অনুমোদন নেই সবাই একে কাউয়ালীগ বলে জানে।
কেউ কেউ বলছেন ওসি প্রদিপের সোর্স হিসাবে কাজ করত ইলিয়াছ, ইয়াবা দিয়ে অনেককেই ফাঁসিয়ে দিয়েছেন নিজেও ইয়াবার মামলায় এরেস্ট হয়েছেন, ইয়াবা ইলিয়াছ নামেও বেশ পরিচিত রয়েছে এলাকায় তার, ভুক্তভোগীরা এমনটা বলেছেন এমবি টিভি'র প্রতিবেদককে। চাঁদা না দিলে ইয়াবার মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে বলে ভয় দেখাত, যারা চাঁদা দিত তারা পার পেয়ে যেত, আর যারা দিতে পারতনা তাদের উপর চালাত অমানুষিক নির্যাতন, গাভী ইলিয়াছের ছিল একাধিক টর্চার সেল, বিভিন্ন কায়দায় তাদের উপর চালাত অমানুষিক নির্যাতন।
অসহায় জেলেরা এখনো ইলিয়াছ আতঙ্কে মাছ ধরতে ভয় পাচ্ছে, এমনও শুনা যাচ্ছে ইলিয়াছের কৌশল খুলনার সেই আলোচিত মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত এরশাদ শিকদারকে ও হার মানাবে, ইলিয়াছ প্রকাশ গাভী ইলিয়াস এরেষ্ট হওয়ার পরেও থামছেনা জেলে পরিবারে ইলিয়াস আতঙ্ক । কে এই ইলিয়াছ এর পেছনে কারা রয়েছে এত সাহসের পেছনে কাদের হাত রয়েছে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জেলে পরিবার সহ এলাকার অসহায় হতদরিদ্র মানুষেরা তাদের প্রানের দাবী জানিয়েছেন।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ইলিয়াছ আতঙ্কের খবর হৈই চৈই ফেলে দিয়েছে সাংবাদিক পাড়ায়, চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন পত্রিকায়, টিভি চ্যানেলের শিরোনাম এখন
শুধু ইলিয়াস আতঙ্ক।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের তথ্যমতে তেল চুরির সাথে আশির দশক থেকে জড়িত ইলিসাছ প্রকাশ গাভী ইলিয়াছ,টেক্সী চালক থেকে হয়েছেন শতকোটি টাকার মালিক সবই তেল চুরির টাকা,সাগর ও বিক্রি করে জলদস্যু ইলিয়াছ, তার অনুমতি ছাড়া কেউ মাছ ধরতে পারেনা। সাগর বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেনা সামুদ্রিক মৎস অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা, এমন অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান, সামুদ্রিক মৎস অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এবিষয়ে ইলিয়াছের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এসবের কিছুই জানেন না তিনি।
এত সংবাদ প্রচার হওয়ার পরেও প্রসাশনের দৃষ্টি গোচর হওয়া উচিৎ বিষয়টি খতিয়ে দেখে দেশে যাতে আরেকটি এরশাদ শিকদারের জন্ম না হয় আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক এমনটাই সচেতন মহলের দাবী। ভুক্তভোগীরা বলছেন
এমন কোন কাজ নেই ইলিয়াস করেননি, জাহাজ থেকে তেল চুরি, লুটপাট, ডাকাতী, খুন, রাহাজানি, মাদক কারবারী থেকে শুরু করে সবই করেছেন ইলিয়াছ, জেলেরা মাছ ধরতে সাগরে জাল ফেললেই তাকে দিতে হয় চাঁদা, চাঁদা না দিলেই শুরু হয় তার হয়রানি সহ বেধে মারার সুকৌশল, তার মারার কৌশল দেখে ভুক্তভোগীরা বলছেন এরশাদ শিকদারের চাইতেও গাভী ইলিয়াছ ভয়ঙ্কর।
তার নামে চৌদ্দটির অধিক মামলা রয়েছে বর্তমানে , এত মামলা খাওয়ার পরেও থামছেনা ইলিয়াছের হুমকি ধামকি, জেলখানা থেকে ও তার বাহিনী দিয়ে নানান ভাবে এখনো মানুষদের হয়রানি করে যাচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
দস্যু ইলিয়াস এর ১৯৯৮ সালের চট্টগ্রাম বন্দরটিলার জসিম মার্ডার মামলায় বন্দর থানা মামলা নং ১৩(৯)৯৮ ধারা ১৪৩/৩২৬/৩০৭/৩০২ দঃ বিঃ এই মামলায় দস্যু ইলিয়াস ৩বছর জেল খেটেছে।
বর্তমানে জেলে বসে মেডিকেলের সিট কিনে নিয়ে খুব আরাম আয়েশে সময় কাটছে ইলিয়াছ প্রকাশ গাভী ইলিয়াছের, ভাল ভাল খাবার সরবরাহ করছে তার অনুসারীরা জেলারকে দিয়ে সব সুবিধা ভুগকরছেন বলে গুপন সুত্রে খবর পাওয়া গেছে।
জেলে বসেই এখন ইশারায় কলকাঠি নাড়ছেন এমনটাই তথ্য পাওয়া গেছে।
আরেক দিকে ডিবি পুলিশকে সাধারণ মানুষের সাধুবাদ, সাধারণ মানুষ একসময় পুলিশকে ভয়পেত কিন্তু এখন তারা বলছেন পুলিশ জনগনের বন্ধু, এমন সন্ত্রাসী জলদস্যুকে এরেস্ট করে ইতোমধ্যে সাধারণ জনগনের মন জয় করে নিয়েছেন পুলিশ প্রশাসন।
জেলে পরিবার সহ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষরা প্রশাসনের এমন কাজে আনন্দিত হয়ে প্রশাসনের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন, আরো বলেছেন আমরা পুলিশ ভাই ভাই , সবাই মিলে সন্ত্রাসীদের নিপাত চাই।
উল্লেখ্য গত ২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে পতেঙ্গা থানা এলাকা থেকে গাভী ইলিয়াছকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বিষয়টি নিশ্চিত করছেন চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি দক্ষিণ) পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই মোঃ মহসিন উদ্দিন।
তার বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় হত্যা ডাকাতি চাঁদাবাজি মাদক সহ একাধিক মামলা ও রয়েছে। পুলিশ জানান,বিগত ২০২১ সালের ১০ মে ১৫ জনকে আসামি করে চট্টগ্রাম আদালতে চাঁদাবাজির মামলার আবেদন করেন আবুল করিম শাহীন নামের এক ভুক্তভোগী,ওই মামলায় পতেঙ্গা থানাকে নিয়মিত মামলা নেওয়ার আদেশ দেন চট্টগ্রাম আদালত,পরে এজাহার-ভুক্ত আসামিদেরকে বাদ দিয়ে মামলার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ, এই তদন্ত প্রতিবেদনে বাদী নারাজি দিলে মামলাটি আবারো পুনরায় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (দক্ষিণ) পুলিশকে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ ও পশ্চিম) উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আলী হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন,মামলার পুনরায় তদন্তে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ইলিয়াছ সওদাগর প্রকাশ গাভী ইলিয়াছকে গ্রেফতার করা হয়েছে,পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। তিনি বলেন,ইলিয়াছের গ্রেফতারের খবর পেয়ে ডিবি অফিসে ভীড় করেন ভুক্তভোগীরা।পরে আবারো পতেঙ্গা মডেল থানায় ইলিয়াছের বিরুদ্ধে নতুন করে আর একটি মামলা দায়ের করেছেন অপর এক ভুক্তভোগী।