মিয়ারহাট ডট কমঃ
কালকিনি উপজেলার বাশগাড়ি ইউনিয়ন এবং লক্ষীপুর ইউনিয়নের মাঝ স্হানে খালের উপর একটি পাকা সেতুর অভাবে দুইপাড়ের প্রায় ২ হাজার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।একটি বিশাল বাঁশের চারের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়তই পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে সাধারণ মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কালকিনি উপজেলার বাশগাড়ি ইউনিয়নে কাচিকাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি বিশাল বাশের চার (সাক্কো) রয়েছে।
বাশের চারের পর্ব পাশ বাশগাড়ি ইউনিয়ন এবং চারের পশ্চিম পাশ লক্ষীপুর ইউনিয়নের মধ্যে পড়েছে। অথাৎ দুই ইউনিয়নের বর্ডারে পড়েছে বাশের চারটি।এই বাশের চার (সাক্কো) পার হয়ে সুর্যমনি বাজারে যেতে হয় নতুন চর ভাটবালি ,চর ভাটবালি, ভাটবালি, গ্রামের প্রায় ২০০০ হাজার লোক।তাছাড়া কাচিকাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, স্নানঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়,স্নানঘাটা ফাযিল মাদ্রাসায় লোকজন সাক্কোর পশ্চিম পাশ অথাৎ লক্ষীপুর ইউনিয়ন থেকে ছাত্রছাত্রীদের অনেক কস্ট করে পাড় হতে হয়।
এ এলাকাগুলো কৃষি নির্ভর এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে ধান, পাট, ভুট্টা, আলু, শাক সবজিসহ নানা ধরনের ফসল উৎপাদন হয়।পাকা ব্রীজ না থাকায় এ এলাকায় স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, কৃষকসহ সাধারণ মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সর্বদা। বাঁশের চার(সাক্ক) উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে প্রায় ২ দুই হাজার মানুষ।নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা পাকা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কেউ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি।
এলাকাবাসী বলেন,সূর্যমনি বাজার এবং শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সময় অনেক কষ্ট করে যেতে হয়।এখানে একটি পাকা সেতু হলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাচিকাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার কিছু শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের এই এলাকা থেকে বর্ষাকালে মাদ্রাসায় যেতেও অনেক কষ্ট করতে হয়। এখানে সেতু হলে দুই পাড়ের মানুষের অনেক উপকার হবে। কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা দাবী জানাই আমাদের কস্ট লাগবের জন্য অতি শ্রীগরই একটা ব্রীজ নির্মানের জন্য।