রতন দে, স্টাফ রিপোর্টার,মিয়ারহাট ডট কমঃ
মাদারীপুরের কালকিনিতে মাতৃছায়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় গৃহবধুর শ্রাবনী আক্তার( ২১) মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত কাল শুক্রবার দিবাগত ভোর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় গৃহবধুর মৃত্যু হয় বলে ভুক্তভোগী পরিবার নিশ্চিত করেন।
ভুুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী শ্রাবনী আক্তার গত ২২ শে সেপ্টেম্বর চিকিঃসার জন্য গেলে,দায়িত্ব প্রাপ্ত ডাক্তার জিএম রিয়াজ রহমান আল্ট্রাসনোগ্রাম করে বলেন, অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুর পেটের বাচ্চা মৃত এবং তার পরিবারের লোকজনকে দ্রুত মাতৃছায়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী ভর্তি করতে বলেন। পরে ক্লিনিকে গিয়ে ডাক্তার জিএম রিয়াজ রহমান অপারেশন করেন।
রোগীর স্বামী ইউনুস বলেন, আমার স্ত্রী নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আমার ডাক্তার জিএম রিয়াজ রহমানের কাছে নিয়ে আসি। সে পরিক্ষা করে,অপারেশনের কথা বলে মাতৃছায়া ক্লিনিকে ভর্তি হতে বলেন এবং সে খানে ডাক্তার নিজেই অপারেশন করেন। কিন্তু আমার স্ত্রী সুস্থ্য না হয়ে,পুনরায় অসুস্থ্য হয়ে পরেন। পরে তাকে আমরা কালকিনি হাসপাতালে ওই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
সে খানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সে খানের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ডাক্তার বিভিন্ন পরিক্ষা- নিরিক্ষা করে বলেন, রোগীর পেটের মৃত বাচ্চার, সব অপসরন সঠিক ভাবে, না করার কারনে রোগীর অবস্থা গুরুতর।
আমার স্ত্রী দীর্ঘ ২২ দিন মৃত্যুও সাথে পাঞ্জালড়ে আজ ভোর রাতে মারা যায়।
আমি ওই ডাক্তার ও ক্লিনিকের মালিকের বিচার চাই।
মাতৃছায়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর ম্যানেজার মোঃ রোকনউজ্জামান বলেন,গৃহবধু শ্রাবনীর অপারেশন আমাদের ক্লিনিকে ডাক্তার জিএম রিয়াজ রহমান করেছেন। রোগী সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে গেছেন।
ডাক্তার জিএম রিয়াজ রহমান বলেন, রোগী শ্রাবনী আক্তারের অপারেশন আমি করেছি। তার পেটের বাচ্চা মৃত ছিল।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ পিংকি সাহা বলেন, ওই গৃহবধুর পরিবারকে ডাক্তারের ও ক্লিনিকের নামে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।