মিয়ারহাট ডট কমঃ
বয়ঃসন্ধিকালে শিশু-কিশোরেরা শারীরিকভাবে দ্রুত বেড়ে ওঠে।এর সাথে সাথে তাদের মানসিক বিকাশ ঘটে।এ সময়ে তাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা খুব প্রয়োজন।স্বাস্থ্য যাতে অটুট থাকে, সেদিকে প্রত্যেকেরই লক্ষ রাখা উচিত।সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে হলে যেমন শরীরের যত্ন নিতে হয়, তেমনি স্বাস্থ্য বিধানসমূহ মেনে চলতে হয়।আমাদের জানা প্রয়োজন কিভাবে আমরা সুস্থ্য থাকবো।শরীরের গঠন ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখা এবং নীরোগ থাকাই হচ্ছে স্বাস্থ্যরক্ষা।
দৈহিক স্বাস্থ্যঃ
শিশুকাল থেকে যৌবনকাল পর্যন্ত অথাৎ সাধারনত ২৫ বছর পর্যন্ত একজন মানুষের দেহ বৃদ্ধি পেতে থাকে।এ সময়কালে এই দৈহিক বৃদ্ধি কখনো ধীরে, কখনো দ্রুত ঘটে।যে কোনো বয়সের একজন ব্যক্তির শরীর সুস্থ্য রাখতে হলে তাকে বয়সোপযোগি সুষম খাদ্য গ্রহনের সাথে সাথে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।তাহলে সে তার দৈহিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পারবে।
মানসিক স্বাস্থ্যঃ
কোনো কারনে মানসিক অশান্তি থাকলে কাজে মন বসে না।দেহের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।আবার শরীর খারাপ থাকলে মন খারাপ হয়-চিন্তাশক্তি,বুদ্ধিমত্তা কমে যায়।তাই দৈহিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার সাথে সাথে মানসিক স্বাস্থ্যও ঠিক রাখতে হবে।কারণ শরীর ও মনের সম্পর্ক নিবিড়, একে অপরের পরিপূরক।
দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার উপায়ঃ
স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের জন্য ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষায় সচেষ্ট হতে হবে।এ জন্য প্রথমে স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।আর তা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।স্বাস্থ্যবিষয়ক নিয়মকানুন বা স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে রয়েছে সময়ানুবর্তিতা,পরিস্কার- পরিচ্ছন্নতা, প্রয়োজনীয় ও পরিমিত ব্যায়াম,বিশ্রাম ও ঘুম, প্রয়োজনীয় পরিমাণে সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত খেলাধুলা, বিনোদন, সদা প্রফুল্ল থাকা, মাদকদ্রব্য বর্জন, আনন্দদায়ক বইপত্র পাঠ, সুষ্ঠ বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন ইত্যাদি।