রতন দে স্টাফ রিপোর্টার:
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা তৈরি ও দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রাথমিক স্থর থেকে আইসিটি শিক্ষার যুগান্তকারী প্রদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে সারাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। ল্যাবের মাধ্যমে শিক্ষায় তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ তৈরী, শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলাই সরকারের মূল উদ্দেশ্য।উপজেলা শিক্ষা অফিসার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রশাসনের সঠিক তদারকির অভাবে কালকিনি ও ডাসার উপজেলায় সরকারের এ মহৎ উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে।
জানা যায়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি ল্যাবে ১৭টি ল্যাপটপ, প্রজেক্টর, স্ক্যানার, প্রিন্টার, চেয়ার, টেবিল সহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সরবরাহ করা হয়। ল্যাবের কক্ষ অত্যাধুনিকভাবে ডেকোরেশনও করা হয়। কিন্তু অযত্নে, অবহেলা এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অভাবে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রকল্প ভেস্তে যাচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদপ্তর কর্তৃক মঙ্গলবার শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমিতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব তালা বন্ধ। ল্যাবে নেই কোনো ল্যাপটপ,এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বি.এম.হেমায়েত হোসেন বলেন ১৭ ল্যাপটপ আছে ৪টি ল্যাপটপ শিক্ষকরা বাড়ি নিয়ে যায় এবং স্কুলে আসার সময় নিয়ে আসে,আর ১৩ টি ল্যাপটপ জাহিদুর রহমান স্যারের বাসায় রাখা, আপনারা দেখতে চাইলে দেখাতে পারি আনতে ২ মিনিট লাগবে। বাসায় ল্যাপটপ রাখা ও শিক্ষকরা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার বিষয় সাংবাদিকরা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন স্কুল থেকে চুরি হয়ে যেতে পারে সে কারনে নিরাপত্তার জন্য বাসায় রাখা হয়। ৪টি ল্যাপটপ শিক্ষকরা বাসায় নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন তারা আগে প্র্যাকটিস করে ক্লাস নেয়,এবং ল্যাব সহকারী নতুন তো তাই তার একটু বেশি প্র্যাকটিস দরকার। এটা আমাদের ভুল হয়েছে।
এনায়েতনগর উচ্চ বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব তালা বন্ধ অবস্থায় আছে।
এ ব্যাপারে স্কুলের ল্যাব সহকারী বলেন স্কুলে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই বিধায় আমরা চালাতে পারছিনা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবুর রহমানকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে যোগাযোগ করতে বলে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে যান।