মিয়ারহাট ডট কমঃ
অদ্য ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ রোজ মঙ্গলবার মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি)-এর অন্তর্ভুক্ত স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিম-এর আওতায় পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালকিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ মাহাবুবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালকিনি উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব পিংকি সাহা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ মহিদুল ইসলাম, প্রভাষক (মনোবিজ্ঞান বিভাগ), সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমী এন্ড উইমেন্স কলেজ, কালকিনি, মাদারীপুর। এছাড়াও কালকিনি উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের কর্মসূচিভুক্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সংগঠকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের টিম ম্যানেজার মোঃ জাফর হোসেন।
স্বাগত বক্তব্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট মানেজার মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, ২০৪১ সালে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, আর তা বাস্তবায়ন হবে আজকের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমেই। আজকের যারা শিক্ষার্থী তাদেরক সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে তাদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা সোনার বাংলার জন্য সোনার মানুষ চেয়েছিলেন আর এই সোনার মানুষ পেতে হলে আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগড়দের মাঝে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব পিংকি সাহা কর্মসূচির দ্বারা শিক্ষার্থীদের বই পড়ার পাশাপাশি পাঠ দক্ষতার ব্যপারেও গুরুত্ব বাড়বে বলে মনে করেন। এসময় তিনি উপস্থিত শিক্ষক ও সংগঠকদের কর্মসূচির ব্যপারে উদ্বুদ্ধ করেন, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন, কর্মসূচি পরিচালনা করার ব্যপারে সর্বাত্বক সহযোগিতা করার প্রতি প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সংগঠকদের আহ্বান করেন এবং অত্র উপজেলায় পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
কর্মশালায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জনাব মোঃ মাহবুবর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, কালকিনি। সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিশ্বব্যাপি কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে দীর্ঘদিন সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ড্রপআউট হয়েছে, বইপড়া থেকে ছিঁটকে পড়েছে, তাদেরকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্রুত ফেরানোর জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে বইপড়ার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করাসহ, র্যালি, বির্তক প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তৃতা ইত্যাদির আয়োজন করার জন্য পরামর্শ দেন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সকল কর্মকর্তাকে প্রশংসা করে বলেন, এমন সুন্দর উদ্যোগ গ্রহণের ফলে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বইপড়ার সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। তিনি ভবিষ্যতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সকল কাজে সার্বিক সহযোগিতা করবেন এ মর্মে প্রতিশ্রুতি দেন এবং কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।