মিয়ারহাট ডট কমঃ
“যারা যোগায় ক্ষুদার অন্ন
আমরা আছি তাদের জন্য।”
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক সুপারিশ প্রাপ্ত ১৩০২ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ২০২২ ব্যাচের আয়োজনে মাননীয় কৃষি মন্ত্রী,ড.মোঃআব্দুর রাজ্জাক ,এমপি মহোদয়কে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
বুধবার রাত ৮ টায় মাননীয় কৃষি মন্ত্রীর হেয়ার রোড ৩৫ ঢাকা,নিজ বাসবভনে সদ্য সুপারিশপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
মিয়ারহাট ডট কমকে সুপারিশপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন বলেন-
সময় এসেছে হাতের মুঠোয়,
নিজেদের করো হে পূর্ণ!
মস্য,পশু,ফসলি ক্ষেত,
সবই আজ তোমাদের জন্য।
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে ক্রমশই আমাদের আবাদি জমি কমে যাচ্ছে।অন্যদিকে প্রতিনিয়ত খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।এই খাদ্য চাহিদা পূরণে আমাদের সীমিত সম্পদের অপ্রতুল ব্যবহার করতে হবে ও জমিকে উৎপাদনক্ষম গড়ে তুলতে হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সুখি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলা।সেই লক্ষ্যে তার ই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের সার্বিক কল্যানে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী স্বপ্নপ্রসূত বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে অনাবাদি জমির সুষ্ঠ ব্যবহার,নিরাপদ সবজি উৎপাদন,কৃষিকে উৎপাদনমুখী গড়ে তোলা বিষয়গুলো অন্যতম।
সবুজ শ্যামলে ভরা আমাদের সোনার বাংলা।এই বাংলার মানুষের অদম্য ইচ্ছাশক্তিতে আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি।গর্ব হয় এই দেশের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য।তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে কৃষি প্রধান বাংলাদেশের কৃষি সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছে।
বীজ,সার, প্রশিক্ষণ পাচ্ছে চাষী,
খুশিতে আত্মহারা নগরবাসী।
প্রযুক্তির উন্মেষ ঘটে প্রতিদিন,
মান্ধাতা আমলের কৃষি আজ মলিন।
মাঠ পর্যায়ে কৃষকের কাছাকাছি থেকে কৃষকের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সর্বদাই উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ আধুনিক কৃষির জ্ঞান, প্রশিক্ষণ,কৃষিজ উপকরণ ,সার ইত্যাদি প্রদানের মাধ্যমে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।তাদের পরিশ্রমের বিনিময়ে একটু একটু করে বাংলাদেশের ভাগ্য নির্মান হচ্ছে।আমরা উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ব্যাচ-২০২২ মুখিয়ে আছি এই মহৎ কার্যে নিজেদের বিলিয়ে দেওয়ার জন্য।
১৩০২ পরিবারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের কৃষকের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে নব অধ্যায় সূচিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।