শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১২টায় পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে উপস্থিত ছিলেন সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন ।
সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যের শুরুতে আবুল হোসেনসহ অন্যদেরকেও সহমর্মিতা জানান প্রধানমন্ত্রী।এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি। এ সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা পর্যায়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। সেই অপবাদ সহ্য করেছেন আমার পরিবারের সদস্য ছোটবোন শেখ রেহানা, তার পুত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, আমার দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, আমার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ কয়েকজন সহকর্মী। তারা চরম মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছিলেন। আমি তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।”
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন পদ্মা সেতু নিয়ে ঢাকা টাইমস্ এ প্রকাশিত কলামে জানিয়েছেন ” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রেষ্ঠ উপহার পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমত্তা পদ্মা, কীর্তিনাশা পদ্মার উপর সেতুর স্বপ্ন দেখেছিলেন দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলার মানুষকে। দেশের মানুষকে। জনগণের মধ্যে পদ্মা সেতুর আকাক্সক্ষা জাগ্রত করেছিলেন। তিনি পদ্মা সেতু তৈরি করে মানুষের স্বপ্নকে পূরণ করলেন। এ সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়ার সূচনায় আমি সম্পৃক্ত থেকে যেভাবে কাজ করেছি সে ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হতো। কিন্তু বিশ্বব্যাংকসহ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে তা নয় বছর পিছিয়ে গেল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্ত আর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতু আমাদের অহংকারের প্রতীক। পদ্মা সেতু আমাদের গৌরবের প্রতীক। পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। প্রকৌশলগত এক বিস্ময়ের প্রতীক। পদ্মা সেতু আমাদের সততার প্রতীক। পদ্মা সেতু আমাদের অপমানের প্রতিশোধ। ষড়যন্ত্রের জবাব। পদ্মা সেতুর ফলে জাতির আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। পদ্মা সেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা ও সাহসের সোনালি ইতিহাস। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে পদ্মা সেতুর মতো একটি কালজয়ী স্থাপনা আমাদের উপহার দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই।”
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেনকে সরে যেতে হয় শেখ হাসিনার মন্ত্রী সভার থেকে। তখন থেকেই তিনি রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। পদ হারিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের ও পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাননি দলীয় মনোনয়ন।