আবারও শেবাচিম হাসপাতালে এক মানসিক ভারসাম্যহীনের সেবা-যত্ন করে মানবিক এক উদাহরন সৃষ্টি করলেন সার্জারী ইউনিটের এক ওয়ার্ড বয়। আর তার এমন কর্মকান্ডে সর্বত্র প্রশংসা কুড়িয়ে চলেছেন তিনি। জানা গেছে,গত মঙ্গলবার সার্জারী ইউনিট-৪ এ মিঠুন (৩৫) নামে এক পাঁ পচা রোগী ভর্তি হয়। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই রোগীর স্বজন না থাকায় রোগীর সারা শরীর নোংড়ায় পরিনত হয়। দুর্গন্ধে ওয়ার্ডের রোগীরা থাকতে পারছিলো না। ঠিক তখনই ওই রোগী কে সেবা দিতে ছুটে যান কর্তব্যরত ওয়ার্ড বয় সুমন হাওলাদার।
এতো দুর্গন্ধের মধ্যেও দুই হাত দিয়ে রোগীকে সারা শরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও আদর যত্ন দিয়ে তাকে সুস্থ করে তুলেছেন তিনি। সুমন প্রতিদিন তার নিজের হাতে তাকে খাবার খাওয়ানো সহ নিয়মিত যত্ন নেন। আর তার এমন কর্মকাণ্ডে ভারতের সেই বিখ্যাত কন্ঠ শিল্পী ভূপেন হাজারিকার গানের কথার সাথে তার বাস্তবতা মিলে গেল। মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য। এদিকে সুমনের কর্মকাণ্ডে একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, একটি ইতিবাচক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন সুমন। মানুষ হিসেবে মানুষের সেবা করতে হবে। এটাই নৈতিক দায়িত্ব। আর সুমন সেই প্রশংসনীয় কাজটি করেছেন।
তার এমন মানবিক কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানাই। এ বিষয়ে ওই ইউনিটে চিকিৎসাধীন সুমন মোল্লা জানান, প্রথম যখন তাকে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় তখন খুব নোংরা ও তার সারা শরীরে ঘা ছিল। কিন্তু ওয়ার্ড বয় সুমন ভাই তার সারা শরীর ড্রেসিং করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করে তোলে। এর আগেও আরেকটি পাগল রোগীকে তার ভালোবাসা দিয়ে সেবা যত্ন করে সুস্থ করে তুলেছেন। এ ব্যাপারে সুমন হাওলাদার বলেন, আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা সে অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে যায়। আমি আমার দু’হাতে তার সেবা যত্ন করেছি। আমি সব রোগীকেই বাবার কথা ভেবে সেবা যত্ন করি। হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এইচ এম সাইফুল ইসলাম তিনি প্রশংসা করেছেন সার্জারি ইউনিটের ওয়ার্ড বয় সুমন হাওলাদারের।