লাই-ফাই (Light Fidelity) একটি দ্বিমুখী, উচ্চ গতির এবং ওয়াই ফাই অনুরূপ সম্পূর্ণরূপে সংযুক্ত বেতার যোগাযোগ প্রযুক্তি।
অন্ধকারের অমানিশা দূর করার জন্য বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনকে আমরা সবাই চিনি।
টমাস আলভা এডিসন এর যুগান্তকারী আবিষ্কার হলো বৈদ্যুতিক বাতির আলো।কিন্তু তিনি জানতেন না, তার আবিষ্কৃত বৈদ্যুতিক বাতি শুধু ঘর আলোকিত ছাড়াও একদিন তথ্য সম্প্রচারের কাজেও ব্যবহৃত হবে।
এলইডি তথা লাইট তথা মিটিং ডায়োড (এই ডায়োড থেকে আলো নির্গত হয়) বাতি ব্যবহার করে কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে তথ্য (ডেটা) আদান–প্রদান করা যাবে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, এমনকি হাতের মুঠোফোনটিতেও। নতুন এই প্রযুক্তির নামকরণ করা হয়েছে ‘লাই-ফাই’, যেটি তারহীন ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের চেয়েও ১০০ গুণ দ্রুতগতিতে তথ্যের আদান-প্রদান করতে পারবে।
নতুন এই লাই-ফাই প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হতে শুরু করেছে। ওয়াল্ট ডিজনি তৈরি করতে শুরু করেছে এমন কিছু পুতুল, যা লাই-ফাই প্রযুক্তিতে কাজ করবে। ২০২৫ সাল নাগাদ সারা বিশ্বে যে পরিমান এক্সাবাইট ডেটার প্রয়োজন হবে, যা কি না বর্তমান তারবিহীন সংযোগের দ্বারা জোগান দেওয়া অসম্ভব। ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির এই বাড়তি চাপ কমাতে লাই-ফাই প্রযুক্তি ব্যবহার করা।
লাই-ফাই প্রযুক্তিতে কিছু সীমাবদ্ধতা। যেমন, আলো কোনো দেয়াল ভেদ করে যেতে পারে না। তাই আলোর মাধ্যমে সম্প্রচারিত তথ্যও (ডেটা) অনেক বেশি নিরাপদ থাকে। আবার এটাও ঠিক যে ঘরটি ত্যাগ করলেই গ্রাহক ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এটা এই প্রযুক্তির একটা সীমাবদ্ধতা। এটুকু কাটিয়ে ওঠা গেলে এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে ওয়াই-ফাইয়ের তুলনায় লাই-ফাই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা আরও অনেক বেশি লাভবান হতে পারি।